*/দার্জিলিং এর ইতিহাস
দার্জিলিং নামটি এসেছে দুটি তিব্বতি শব্দ থেকে -"দর্জে"অর্থ বজ্র এবং"লিং"অর্থ ভূমি-দার্জিলিং শব্দের অর্থ হল বজ্রের ভূমি।
অতীতের এটি সিকিম রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এটি পরে নেপালের অধীনে চলে যায় ১৮১৫ সালে ইংরেজরা নেপালের পরাজিত করার পর গোরখা চুক্তির মাধ্যমে এই অঞ্চল টি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আছে এরপর ১৮৩৫ সালের একটি হিল স্টেশন বা গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসেবে পরিচিত হয় এরপর থেকেই দার্জিলিং রাজধানী টি বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
*/দার্জিলিং কেন বিখ্যাত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত এক অপূর্ব সৌন্দর্য এক স্থান হল দার্জিলিং । দার্জিলিং পাহাড়ের রানী নামে ও পরিচিত দার্জিলিং শুধুমাত্র পাহাড় বা চায়ের বাগান এর জন্য বিখ্যাত নয় এর এর শান্ত পরিবেশ এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য ঐতিহাসিক নিদর্শন সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনধারা মিলেই পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক এ জায়গায় ভিড় জমায় এ লেখায় আমাদের দার্জিলিং স্থান খাবার সংস্কৃত ভ্রমণের জন্য দার্জিলিং বেশিরভাগ বিখ্যাত।
*/দার্জিলিংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
দার্জিলিং পাহাড়টি মূলত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৭১০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই শহরটি সর্বত্র সবুজ চায়ের বাগান এবং উঁচু-নিচু পাহাড় ঘনত্ব জঙ্গল ফুল দিয়ে সাজানো ভোরবেলায় সূর্যোদয়ের সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা, পর্বতের দৃশ্য পৃথিবীর অন্যতম সেরা সৌন্দর্যের মধ্যে একটি।
*/ পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক
ভারতের অন্যতম একটি জনপ্রিয় চিড়িয়াখানায় এখানে বিরল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে যেমন লাল পান্ডা এবং তুষার চিতা হিমালয়ন নেকড়ে ইত্যাদি দেখা যায়।
*/দার্জিলিং এর আবহাওয়া ও ভ্রমণের সেরা সময়
দার্জিলিং এর আবহাওয়া সারা বছরই মনোরম তবে মাঠ থেকে মেয়ে এর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর সময়টি ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময়ের আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায় শীতের সময় তাপমাত্রা অনেক নেমে যায় এবং অনেক সময় তুষারপাত ঘটে।
*/দার্জিলিং এর সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনধারা
দার্জিলিং টি মূলত নেপাল ভুটান লেপচা ভুটিয়া এবং ত্রিপতিজন গোষ্ঠীও দ্বারা গঠিত এখানকার সংস্কৃতি হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্ম মিশন দেখা যায়। সারা বছর বিভিন্ন উৎসব যেমন বিহার। ইত্যাদি পালিত হয়।
*/দার্জিলিং এর বিখ্যাত খাবার ও পানীয়
দার্জিলিং ভ্রমণ করে এসে দার্জিলিং এর খাবারের স্বাদ ভোলা অসম্ভব যেমন মোমো এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার থুকপা তিব্বতি স্টাইলে তৈরি স্যুপ নুডুলস দার্জিলিং চা এক কাপ আসল দার্জিলিং চা, না খেয়ে ভ্রমণ অসম্ভব। দার্জিলিং এর স্থানীয় রেস্টুরেন্টে নেপালি ত্রিপতি ও ভারতীয় নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
*/দার্জিলিং কেন আপনি ভ্রমণ করবেন
১/শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ ।
২/পাহাড়ি মানুষের অতিথিওতা ।
৩/টয় ট্রেনের ঐতিহ্য ।
৪/চায়ের বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা।
*/দার্জিলিঙে থাকার ব্যবস্থাপনা
দার্জিলিংয়ের বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে মাঝারি সবই পাওয়া যায় পর্যটকের বাজেট অনুযায়ী এখানে কোনরকম অসুবিধা নেই আপনার মনের মতন। হোটেল পেয়ে যাবেন।
*/চায়ের বাগান
দার্জিলিং বিশ্বব্যাপী খ্যাত চা বাগানে হাঁটতে হাঁটতে সবুজ সমারো ও সতেজ পরিবেশের সময় কাটানোর দারুণ অভিজ্ঞতা হবে আপনার জীবনে।
*/দার্জিলিংয়ের শান্তি প্যাগাডো
জাপানি শান্তি স্তুপ নামে পরিচিত এই প্যাগাডো পর্যটকদের শান্তি ও প্রশান্তির অনুভূতি দেয়।
*/দার্জিলিংয়ের রেলওয়ে
বিশ্ব ঐতিহ্য ব্যাপী টয় ট্রেন দার্জিলিং ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণীয় এবং রেল পথটি ১৮৮১ সালে তৈরি করা হয়েছিল ছোট্ট এই টয় ট্রেন টি পাহাড়ি আকা বাকা পথে চললে দারুন অভিজ্ঞতা দেয় পর্যটকদের।
*/টাইগার হিল
দার্জিলিং ভ্রমণে টাইগার হিল না দেখলে ভ্রমণ সম্পন্ন থেকে যায় পর্যটকদের এখানে ভোরের সূর্যোদয়ের দৃশ্য এক কথায় অন্যতম কালে এখানে হিম শীতল হাওয়া ও তুষারের সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে তোলে।