ভারতীয় কৃষি কাজের সমস্যা ও তার সমাধান/Problems and solutions of Indian agriculture.

 */কৃষি কাজ কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ


কৃষি কাজের গুরুত্ব-কৃষিকাজ এমন একটা কাজ এই কৃষি কাজ ছাড়া আমরা একটা দিন ও চলতে পারবো না আমরা দামী ঘড়ি বাইক ছাড়া চলতে পারবো কিন্তু খাবার ছাড়া একটা দিন ও চলতে পারবো না তাই আমাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সমাজ হল কৃষি সমাজ কিন্তু এই কৃষি সমাজ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে


*/কৃষি কাজের কয়েকটি বাধার কারণ-    

  যেমন-

   1/কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারণ।

   2/দুর্যোগের কারণে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া

   3/কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য না দেওয়া

   4/নতুন যুব সমাজ কৃষিকাজে আগ্রহী না দেখানোর        কারণে

   5/বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে কৃষি জমি            ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়া

   6/কৃষি কাজের জন্য সহযোগিতা না পাওয়া



 1/কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারণ।

- কৃষি জমি কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ যেমন 

   1/ কৃষি জমিতে গাছ লাগানো।
 
   2/ গঙ্গার তীরের পার্শ্ববর্তী স্থানে ভাঙ্গনের ফলে 
       কৃষি জমি জলের নিচে তলিয়ে যাওয়া ।

  3/ কৃষি জমির উপর ফ্যাক্টরি ও কল কারখানা তৈরি
     করার ফলে দিন দিন কৃষি জমি কমে যেতে               থাকছে।


2/দুর্যোগের কারণে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া

-দুর্যোগের ফলে কৃষি জমি যেমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় 

1/বর্ষের সময় নিচু অঞ্চলের কৃষি জমি অল্প জলে         ডুবে যায়।

2/শিলা বৃষ্টির ফলে পাট ও অন্যান্য ফসলের           ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।

3/সমুদ্র পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি গুলোতে  জোয়ারের     নোনতাজল ঢুকে কৃষি জমির নষ্ট হয়ে যাওয়া। 


3/কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য না দেওয়া

যেমন-

1/বড় বড় আড়তদাররা  ফসল ওঠার সময় একদম অল্প টাকায় ফসল কেনে ও তাদের মার্কেটের চেয়ে কম টাকা দেয় তাই ছোট কৃষকরা ফসল বেঁচে  দিনশেষে তাদের খরচাপাতি যখন হিসাব করতে বসে তখন তারা দেখে যে তাদের পরিশ্রমের ফসল বেঁচে একসময় তাদেরই দিন চলে না। 

2/বড় বড় আর আড়তদাররা ফসল ওঠার সময় কম টাকায় ফসল কিনে নেয় এবং মজুদ করে রেখে দেয় যখন মার্কেটে সে ফসলের ঘাটতি দেখা দেয় তখন তারা সেই  মজুদ করা ফসল মার্কেটের চেয়ে দ্বিগুণ দামে তখন বিক্রি করে এর ফলে আড়তদাররা কৃষকের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ কর 


4/নতুন যুব সমাজ কৃষিকাজে আগ্রহী না দেখানোর কারণে

-যুব সমাজ কৃষিকাজে আগ্রহী না দেখানোর কারণ 
যেমন- 
1/কৃষি কাজে লাভের পরিমাণ কম হওয়ার          জন্য।

2/কৃষককে আমাদের সমাজের নিচু চোখে দেখে এর জন্য।

3/আমাদের কৃষি সমাজ অন্যান্য দেশের টেকনোলজি থেকে পিছিয়ে পড়ার কারণ। 

4/ফসল উঠার কোন গ্যারান্টি নেই কারণ আবহাওয়া ভালো থাকলে ফসল ভালো হয় এবং আবহাওয়া যদি ভালো না হয় সে কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কৃষক একসময় অনেক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর ফলে মাঠের ফসল বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।


5/বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়া

 যেমন -

1/জৈব সারের থেকে রাসায়নিক সার সস্তা হওয়ার কারণে  নিয়মিত ব্যবহার করে চলেছে কৃষকরা।

2/কিন্তু সাধারণ কৃষকরা যা জানে না, তা হল হয়তো রাসায়নিক সার জৈব সারের থেকে কম হতে পারে কিন্তু রাসায়নিক সারের অনেক ক্ষতি হয় জমিতে নিয়মিত রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা নষ্ট করে দেয় এবং সেই ফসল খাওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

 6/কৃষি কাজের জন্য সহযোগিতা না পাওয়া

কারণ -

1/সাধারণত কৃষিকাজ এতটা পরিমাণে পিছিয়ে পড়েছে যে এই কাজ অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলা সম্ভব না সরকারি সহযোগিতা যদি না পাওয়া যায় তাহলে কৃষিকাজ একসময় বিলুপ্তির পথে চলে যাবে যার প্রভাব আমাদের উপর এসে পড়বে এবং আমার এক বিরাট পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

2/এমন এক সময় আসবে কৃষি কাজের জমি ফ্যাক্টরিও কল কারখানার মালিকরা নিজের আড়তে নিতে থাকবে এবং ফসল করার জন্য এক টুকরো পরিমাণের জমি পাওয়া যাবে না।



*কৃষি কাজের সমস্যার সমাধানের কয়েকটি দিক

 1/ফসলের জন্য উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করা
ফসল যতই ভালো হোক না কেন যদি ফসলে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি না হয় তাহলে কি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এই ফসল বেঁচে তাদের লাভের হার একবারে কমে যাবে।

*টেকনোলজির দিক থেকে কৃষি  সমাজ কে এগোনো 

যেমন-কৃষি জমিতে সোলার ওয়াটার পাম্প লাগানো এর ফলে অনেক পরিমাণে খরচা কমে যাবে। 

2/ রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে হবে এবং জৈবিক স্যারের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

3/বাড়িতে যদি একটি বা দুটি গরু থাকে সেই গরুর মল একটি স্থানে আবদ্ধ অবস্থায় রাখে সেই মলটি শুকিয়ে জমির জন্য জৈব সার তৈরি করা।
 
4/হাইড্রোফনিক ও একোফোনিক ভাবে সবজি চাষ করা।
 
5/এয়ারোফোনিক এর ফলে মাছ ও সবজি একসঙ্গে চাষ করো।


6/হাইড্রোপনিক চাষ পদ্ধতি জলের উপর ভাসমান ভাবে সবজি চাষ এবং জলের নিচে মাছ চাষ সাধারণত সবজি মাছের জলকে ফিল্টার করতে সাহায্য করে এবং এবং এর ফলে মাছের জলের অ্যামোনিয়ার পরিমাণ কমে যায় এতে ব্যবসায়ী লাভবান হয় এবং মাছের অ্যামোনিয়ার শোষণ করে সবজি ঐদিকে ভালো ফসল হয় এর ফলে কৃষকের লাভ দ্বিগুণ হয়ে যায়।

7/ফসলের জন্য বাজার নির্বাচন করা ফসল যতই ভালো হোক না কেন যতক্ষণ না সেটা বিক্রি করা যায় ততক্ষণ কৃষক তার পরিশ্রমের টাকা পাবে না ফসল তখন বিক্রি করার অনেক দিক আছে যেমন অনলাইনের মাধ্যমে ফসল বিক্রি করা যায় এবং স্থানীয় বাজারে গিয়ে নিজের হাতে ফসল বিক্রি করা।


8/প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যখন কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সাধারণ কৃষকের টাকা ও বিজ দিয়ে সাহায্য করা দরকার দেশের সরকারের।

9/ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম বলেছিলেন আমাদের দেশের যুবসমাজ যতদিন না মাঠের দিকে মন দিবে ততদিন আমাদের দেশ উন্নতি করতে পারবে না।




(Photos used in this post are from Unsplash)



Thanks for contact me

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post